কর্মস্থলে যে পাঁচটি ব্যাপার সবসময় মেনে চলবেন
অফিস অথাবা কর্মস্থলের কিছু সাধারণ নিয়মকানুন আমরা সকলেই
জানি। সঠিক সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সম্মান প্রদর্শন,
ডেডলাইন মেনে কাজ করা ছাড়াও এমন কিছু ব্যাপার রয়েছে যেগুলো আপনাকে আপনার কর্মস্থলে
মেনে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু বিষয় যা কিনা আপনাকে কর্মস্থলে সফল
হওয়া থেকে বিরত রাখে।
১। অতিরিক্ত অভিযোগ না করা
আপনার কর্মস্থলের পরিবেশ আপনার কাজের প্রতি ইতিবাচক অথাবা
নেতিবাচক প্রেষণা হিসাবে কাজ করে। কাজের পরিবেশ ভালো না হলে অসন্তোষ প্রকাশ খুবই
স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্ত আপনি যদি হরহামেশা আপনার সহকর্মী অথবা ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তাহলে আপনার ক্ষতি হতে পারে। কারন অভিযোগকারীকে
কেউই পছন্দ করে না। আপনি যার অথবা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন তারা যদি ব্যাপারটা
নেতিবাচকভাবে নেয় তাহলে ভবিষ্যতে দলগত কাজ অথবা মতামত প্রকাশের যায়গাগুলোতে মতের
অমিল হতে পারে। আপনার অতিরিক্ত কাজের চাপ অথবা সহকর্মীদের সাথে মতের অমিল হলে
ব্যাপারগুলো পরিচিত অন্য কারোসাথে আলোচনা করুন।
২। স্বেচ্ছায় শ্রম দিন
নিয়মিত দায়িত্তের বাইরে আপনি যদি কোন কাজ করে থাকেন তবে খুব
সহজেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খুশি হবে যা কিনা আপনার ক্যারিয়ারে ইতিবাচক প্রভাব
বিস্তার করবে। একইসাথে আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এবং কাজ সম্পর্কে ধারণা বাড়বে।
তবে অনবরত স্বেচ্ছাশ্রম দিলে আপনার নিজের কাজের ক্ষতি হতে পারে এবং আপনার
সহকর্মীরা এই বিষয়টির সুযোগ নিতে পারে।
৩। ড্রেসকোড মেনে পোশাক পরিধান করা
আজকাল দেখা যায় কিছু কোম্পানি ক্যাজুয়াল ড্রেস কোড অবলম্বন করছে। কর্মচারীদের
স্বাচ্ছন্দ্যবোধের কথা বিবেচনা করে কোম্পানি এই সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু একইসাথে ভুল সিদ্ধান্ত নেবারও ঝুকি তৈরি হয়। পোশাকের
ব্যাপারে আপনার কর্মস্থলের নিয়মনীতি যতটাই ঢিলেঢালা হোক না কেন, কখনোই অতিরিক্ত
খোলামেলা, ছেঁড়া বা
অপরিষ্কার, কোঁচকান পোশাক পরিধান করবেন না। এছাড়া আক্রমণাত্মক কোনো ভাষা বা স্লোগান সংবলিত
টি-শার্টও পরা থেকে বিরত থাকুন।
৪। রাজনৈতিক আলাপ থেকে বিরত থাকুন
অফিসে বসে হয়তো আপনি আপনার প্রিয় সহকর্মীর সাথে ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা নিয়ে
আলাপ করতে পারেন অথবা তার কাজের খোঁজখবর নিতে পারেন। কিন্ত কখনোই কারো সাথে
রাজনৈতিক আলাপচারিতায় জড়াবেন না। রাজনীতি ধর্মের মতই একটি স্পর্শকাতর বিষয়। ফলে রাজনীতি
নিয়ে আলোচনা করতে গেলে বিপরীত রাজনৈতিক বিশ্বাসের কোনো সহকর্মীর সঙ্গে আপনার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হতে পারে। এই ধরনের অসন্তোষজনক
পরিবেশ তৈরি থেকে বিরত থাকুন।
৫। ব্যক্তিগত কাজে সময় ব্যায় থেকে বিরত থাকুন
আপনি যদি
খুবই কর্মব্যস্ত কোনো পরিবেশেও কাজ করেন তাও মনে রাখবেন কেউ না কেউ হয়তো আপনার ওপর
গোপন নজরদারি করছে। হয়তো আপনার ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তা অথবা আপনার সহকর্মীরাই কাজটি করছে। অন্যদিকে সিকিউরিটি ক্যামেরার
নজরদারি তো আছেই। কিছুকিছু মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি আবার আরো একধাপ এগিয়ে। তারা
একি নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত কম্পিটার, এবং অন্যান্য ডিভাইজগুলোর উপর সহজেই নজরদারি
করে থাকে। তাই অযথা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যাবহার, অতিরিক্ত পরিমাণ ফোকে
কথাবলার মতো কাজগুলো থেকে বিরত থাকুন।
এছারাও ছোঁয়াচে রোগ নিয়ে অফিসে আসা, গুজোব ছড়ানোর মতো নেতিবাচক কাজগুলো কখনোই
করবেন না।
No comments